Lamborghini Huracán LP 610-4 t

ﺑِﺴْﻤِﺎﻟﻠّٰﻬِﺎﻟﺮَّﺣْﻤٰﻨِﺎﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ


SHAHJIBAZAR™


03:44
18/05/24


1. ফাঁদ

একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল।

ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল।
মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল-
“ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবনা।"

মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল।
ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল-
“ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। আমি এখানে তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবনা।"

ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো।
সব কথা শুনে গরু বলল-
“ইঁদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। যা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা, তাতে আমি সাহায্য করতে পারবনা।"

ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো। রাতের বেলা বাড়ির কর্তী অন্ধকারের ভিতর বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পড়েছে।
অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পড়েছে। তার চিৎকারে কর্তার ঘুম ভাঙল।

তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালো না। পথ্য হিসেবে ডাক্তার মুরগির সূপ খাওয়াতে বললেন।

সূপের জন্য কর্তা মুরগিকে জবাই করে দিলেন।

অবস্থা আস্তে আস্তে আরও খারাপ হতে লাগলো। দূরদূরান্ত থেকে আরও অনেক আত্মীয় স্বজন
আসতে লাগলো।

বাধ্য হয়ে কর্তা ছাগলকে জবাই করলেন তাদের
আপ্যায়ন করার জন্য।

আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার
দরকার হতে লাগলো।

অবশেষে বাড়ির কর্তা তাদের গরুটিকে কসাইখানায় বিক্রি করে দিল।

একসময় বাড়ির কর্তী সুস্থ হয়ে উঠল। আর এই
সমস্ত কিছু ইঁদুরটি তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করল।

শিক্ষণীয় বিষয়ঃ কেউ বিপদে সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করা উচিৎ, হোক সেই বিপদ আমাকে স্পর্শ করুক বা না করুক। বিপদগ্রস্থকে সাহায্য করা নৈতিক দায়িত্ব।




2. বিয়ের আগে ও পরে™

বিয়ের আগেঃ
-- হ্যালো, জান(মেয়ে)
-- উমম…বলো…
-- এখনো ঘুম থেকে উঠো নি?
এত বেলা পর্যন্ত
না খেয়ে থাকলে শরীর
খারাপ করবে তো! ওঠো,
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করো!
বিয়ের পরেঃ
-- কয়টা বাজে? এখনো ঘুম
থেকে ওঠো না কেন?
জমিদার হয়ে গেছ
নাকি?
-- শরীরটা একটু খারাপ
লাগছে!
-- ও, তোমার তো সারা বছরই
শরীর
খারাপ
থাকে! যত্তসব…

বিয়ের আগেঃ
-- হ্যালো, জান কি করো?
-- এই তো, বাজার
করতে যাচ্ছি।
বুয়া চলে আসছে।
তাড়াতাড়ি বাজার
আনতে হবে!
-- কি বলছো? অন্য
কাউকে পাঠাও।
এখন বের
হলে ঠান্ডা লাগবে তো!
-- মেসে আর কেউ নেই এখন
-- উফফ… আচ্ছা, শীতের কাপড়
পড়ে বের
হইও!
বিয়ের পরঃ
-- ( একটা লিস্ট
ধরিয়ে দিয়ে) যাও,
এক্ষুণি এই
বাজারগুলো নিয়ে আসো!
-- বাইরে তো খুব ঠান্ডা!
-- আজব!
ঠান্ডা তো কি হইছে?
সারা দুনিয়ার মানুষ
বাজারে যাচ্ছে,
আর উনার ঠান্ডা! লাট
সাহেব উনি!
যত্তসব…

বিয়ের আগেঃ
--জান,
তোমাকে পেলে আমার আর
কিচ্ছু
লাগবে না। গাছতলায়ও
থাকতে পারবো!
বিয়ের পরঃ
--
তোমাকে বিয়ে করে আমার
লাইফটা একদম
হেল!
কি দিয়েছো তুমি আমাকে?
না পারছো একটা ভালো গহনা দিতে!
না পারছো
একটা সুন্দর বাসায় রাখতে!
কিচ্ছু
দিতে
পারবা না,
তাইলে বিয়ে করছিলা কেন?

কি যন্ত্রনা ।
দিল্লিকা লাড্ডু খাইলেও
পস্তাইবেন না খাইলেও
পস্তাইবেন।




3. বাবার ভালোবাসা™

একদিন ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ
পিতা ও তার পুত্র তাদের
বাগানের
একটা বেঞ্চে বসেছিল ।
হঠাৎ একটি কাক এসে বসলো,
তার পিতা জিজ্ঞেস
করলেন,"এটা কি ?"
পুত্র বলল -"এটি একটি কাক
।"কয়েক মিনিট পর,
পিতা আবার জিজ্ঞেস
করলেন ,"এটা কি ?
পুত্র বলল
-"আমি তো কেবলি বললাম
এটা একটা কাক ।"
একটু পর আবার
পিতা জিজ্ঞেস করলেন,
"এটা কি ?"এবার পুত্র
অনেকটা বিরক্ত হয়েই কর্কশ
গলায় বলল ,"এটা একটা কাক,
এটা একটা কাক ।"
এবার পিতা ৪র্থ বারের মত
জিজ্ঞেস করলেন
"এটা কি ?"
এবার পুত্র প্রচণ্ড রেগে গেল,
রাগের
চোটে কাঁপতে কাঁপতে চিৎকারকরে পিতাকে ধমক
দিয়ে বলল "তুমি কেন বার
বার
আমাকে একি কথা জিজ্ঞেস
করছ ?
আমি তো তোমাকে বহুবার
বললাম
এটা একটা কাক,এটা একটা কাক,
চোখ নেই তোমার,
বুঝতে পার না ?"বৃদ্ধ
পিতা কোন
কথা না বলে তিনি হেঁটে হেঁটে চলে গেলেন

একটু পর ফিরে এলেন
একটা ডায়রি সাথে নিয়ে ।
তিনি তার পুত্র
কে বললেন"এটা পড়,
মনোযোগ দিয়ে পড়বে ।"
"আজ আমি আমার ৩ বছর
বয়সী ছেলের
সাথে বাগানের
বেঞ্চিতে বসেছিলাম ।
হটাৎ
একটা কাক এসে বসলো ।
আমার
ছেলে আমাকে ২৩বার
জিজ্ঞেস করল"এটা কি?"
আর আমি ২৩ বারউত্তর
দিলাম"এটা একটা কাক
।"তাকে প্রতিবার উত্তর
দেবার সময় তাকে গভীর
ভালবাসায়
জড়িয়ে ধরেছিলাম ।
আমার পুত্র আমাকে একি প্রশ্ন
২৩ বার জিজ্ঞেস
করেছে এবং আমি একটুও
বিরক্ত বোধ
দেখাইনি আমার নিস্পাপ
ছেলেটার প্রতি ।"
পুত্রের চোখের কোনে জল
জমতে শুরু করল ।
পুত্র ডায়রিটা বন্ধ করে গভীর
ভালবাসায় তার
পিতাকে জড়িয়ে ধরল । আর
ধরা গলায়
বলল"Sorry Baba".
অনেক সময়ই আমরা আমাদের
বাবা - মায়ের
সাথে খারাপ
ব্যাবহারকরি, উচু গলায়
কথা বলি ।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন
কি পরিমান ভালবাসা আর
কষ্ট করেছেন
তারা আমাদের বড় করার
জন্য ? পৃথিবীর কোন কিছু
দিয়ে কি তাদের এই ঋণ
শোধ করা সম্ভব ?




4. রূপকথার গল্প থেকে শিক্ষা

এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজার ছিল একটা মাত্র মেয়ে। অন্যান্য রূপকথার রাজকন্যার মত এই রাজকন্যা আবার তত সুন্দরী ছিল না। রাজকন্যারা মনে হয় সাধারণত সুন্দরী হয়ে থাকে কিন্তু এই রাজকন্যা ছিল খুবই খুবই কুৎসিত। আর তার এই চেহারার জন্য রাজার চিন্তার অন্ত ছিল না। রাজকন্যার যখন বিয়ের বয়স হল তখন রাজা ভীষন পেরেশান হয়ে পড়লেন। রাজা তার মেয়ের বিয়ের খবর সব জায়গায় ছড়িয়ে দিলেন। খবর শুনে প্রথমে আশেপাশের রাজ্যের রাজকুমাররা আসল। তারা জানত যে রাজকন্যা দেখতে খুবই খারাপ। কিন্তু তারপরও তারা চিন্তা করল যে চেহারা যতই খারাপ হউক না কেন বিয়ে করলে তো পুরা রাজ্যই পাব। এরপর তারা একে একে সবাই যখন সেই রাজকন্যাকে দেখল, তারা কেউই রাজ্য পাবার আশায় এত কুৎসিত রাজকন্যাকে বিয়ে করতে রাজি হল না। তারা সবাই নিরাশ হয়ে ফিরে গেল। এরপর রাজার মেয়েকে দেখতে আসল রাজ্যের সব বড় বড় ব্যবসায়ীদের ছেলেরা। তারা চিন্তা করল যে, আমাদের তো আর
রাজপুত্রদের মত অত সুন্দরী বউ লাগবে না, মেয়ে দেখতে যেমনই হউক রাজ্য পাব এটাই অনেক।
কিন্তু তারাও যখন রাজকন্যার কুৎসিত চেহারাকে দেখল তারাও কেউ রাজ্য পাওয়ার পরও এত
কুৎসিত রাজকন্যাকে বিয়ে করতে রাজি হল না।
এভাবে রাজ্যের বিভিন্ন শ্রেণীর লোকদের ছেলেরা রাজকন্যাকে বিয়ে করার জন্য আসল কিন্তু তার এই অস্বাভাবিক কুৎসিত চেহারা দেখে কেউই বিয়ে করতে রাজি হল না। এভাবে করতে করতে একসময় রাজ্যের মেথর, সুইপার এদের ছেলেরা রাজকন্যাকে দেখতে এল। তারা চিন্তা করল যে,
আমাদের জীবন তো এমনিতেই না খেয়েই কাটে, আমাদের কাছে সুন্দরী ই বা কি আর অসুন্দরী ই বা কি। রাজকন্যার চেহারা দিয়ে আমরা কি করব। বিয়ে করলে অন্তত দুবেলা দুমুঠো ভাত শান্তিতে খেতে পারব এটাই অনেক। আমাদের জীবনে তো এমনিতেও কষ্ট ওমনিতেও কষ্ট। কিন্তু তারাও যখন রাজকন্যার চেহারাকে দেখল, তারাও এত কিছু লাভের আশা ছেড়ে বিয়ে করতে রাজি হল না।
সর্বশেষে এক অন্ধ আসল। অন্ধ তো আর রাজকন্যার চেহারা দেখতে পারবে না। রাজকন্যার আসল রূপ তো সে কোনদিনই বুঝবে না।
তাই সেই রাজকন্যাকে বিয়ে করল।

★★★★★★★★

আসলে এই রাজকন্যা হল আমাদের দুনিয়া। যার যতই প্রয়োজন হউক না কেন কেউ যদি এই দুনিয়ার আসল রূপ দেখে তাহলে কোনদিনও এই
দুনিয়া থেকে কিছু নিবে না। কোন চক্ষুস্মান ব্যক্তি কখনও এই দুনিয়াকে আপন করে নেয় না। একমাত্র অন্ধরাই এই দুনিয়াকে তাদের সঙ্গী করে নেয়। আমরাও আজ অন্ধের মত এই কুৎসিত দুনিয়ার খুবই খুবই সামান্য জিনিসের পিছনে আমাদের এই সুন্দর জীবনেকে নষ্ট করছি।।

আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে এইদুনিয়ার আসল রূপ চেনার এবং তা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন।

লেখা: একজন ক্যানভাসার।

Edited by: •• ইসলামিক আমল ••




5. আল্লাহর সবকিছুই সঠিক

এক রাজার এক চাকর ছিল।
চাকরটা সবসময় যেকোনো
অবস্থাতেই রাজাকে বলত,
“রাজা মশাই, কখনো মন
খারাপ করবেন না।
কেননা আল্লাহ যা করেন
তার সবকিছুই নিখুঁত ও সঠিক।
একবার
তারা শিকারে গিয়ে নিজেরাই
এক হিংস্র প্রাণীর
আক্রমণের শিকার হলো।
রাজার চাকর সেই
প্রাণীকে মারতে পারলেও,
ততক্ষণে রাজা তার
একটা আঙুল হারিয়ে
বসেছেন।
রাগে-যন্ত্রণায়-
ক্ষোভে রাজা ক্ষিপ্ত
হয়ে চাকরকে
উদ্দেশ্য করে বলেন, “আল্লাহ যদি সবকিছু ভালোর জন্য করতেন তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার
আঙুল হারাতে হতো না।"
চাকর বলল, “এতকিছুর পরও
আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব,
আল্লাহ সবসময়ই ভালো ও
সঠিক কাজই করেন;
কোনো ভুল করেন না।"
চাকরের এই কথায় আরও বিরক্ত
হয়ে রাজা তাকে জেলে পাঠানোর
হুকুম দিলেন।

এরপর একদিন রাজা আবার
শিকারে বের হলেন। এবার
তিনি একদল বন্য মানুষের
হাতে বন্দি হলেন।
এরা তাদের দেবদেবির
উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত।
বলি দিতে গিয়ে তারা দেখল
যে, রাজার একটা আঙুল নেই।
তারা এমন বিকলাঙ্গ
কাউকে তাদের দেবতার
উদ্দেশ্যে উৎসর্গ
করতে রাজি হলো না। তাই
তারা রাজাকে ছেড়ে দিল।
প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার
সেই পুরোনো চাকরকে মুক্ত
করে দেওয়ার হুকুম দিলেন।
চাকরকে এনে বললেন,
"আল্লাহ আসলেই ভালো।
আমি আজ প্রমাণ
পেয়েছি তার, আমি আজ
প্রায় মরতেই বসেছিলাম।
কিন্তু আঙুল না থাকার
কারণে প্রাণ
নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।
তবে আমার একটা প্রশ্ন
আছে। আল্লাহ ভালো,
এটা তো বুঝলাম। কিন্তু
তিনি আমাকে দিয়ে তোমাকে জেলে পুরলেন
কেন?”
চাকর বলল, “রাজামশাই,
আমি যদি আজ আপনার
সাথে থাকতাম,
তাহলে আপনার বদলে আজ
আমি কোরবান হয়ে যেতাম।
আপনার আঙুল ছিল না, কিন্তু
আমার তো ছিল।
★★★★★

কাজেই আল্লাহ যা করেন সেটাই
সঠিক,
তিনি কখনো কোনো ভুল
করেন না।




6

এক ছেলে মাদ্রাসায়
পড়াশুনা করত

ছেলেটা মাদ্রাসায়
যাওয়ার
সময়
একটি মেয়ে সব সময় তাঁর
দিকে তাকিয়ে থাকে,
তাঁর
সাথে কথা বলতে চায় !
কিন্তু
সেই
ছেলেটি আবার আমার
আপনার
মত
ক্যারেক্টার ঢিলা ছিল
না !
সে কোনো বেগানা নারীর
দিকে তাকাতে চায়না,
চায়না কথা বলতে !
হয়তো এরকম এভয়েড
এবং মেয়েদের
দিকে তাকানোর
অনীহা দেখে সেই
মেয়েটি আরো ক্ষিপ্ত
হয়ে উঠে !!
একদিন
মেয়েটা ছেলেটিকে তার
খালি বাড়ীতে ডাকলো !
কিন্তু
ছেলেটি রাজি হলনা ।
কিছুদিন
পর
মেয়েটি একটা কৌশল
খাটাল ,
মেয়েটা তাদের এক
দাসীকে শিখিয়ে দিলে যে ,
ছেলেটাকে বলবে যে , এ
বাড়ীতে একটা ছোট
বাচ্চা আছে ,
বাচ্চাটা খুব কান্না-
কাঁটি করতেছে ,
আপনি একটু
এসে বাচ্চাটাকে সূরা -
কালাম
পাঠ করে ঝাড়-ফুঁক
দিয়ে যান ,
দাসীটা এ
মিথ্যা কথা বলে ঐ
মাদ্রাসার
ছেলেটাকে বাড়ির ভেতর
নিয়ে গেলো !
তারপর সে দুষ্ট
মেয়েটা ছেলেটাকে নির্জন
একটা রুমে বন্দি করল ,
ছেলেটার
কাছে নিজেকে সঁপে দিতে চাইলো !!
কিন্তু সেই
ছেলেটি চাইলো না কোনো অবৈধ
কিছু
করতে !
ছেলেটি পড়ে গেলো মহা বিপদে,
বুদ্ধি করে বললো, আমার একটু
টয়লেটে যেতে হবে!
মেয়েটি বলল যাও,
তবে দ্রুত ফিরে আসবে ।
ছেলেটি বাধ্য
হয়েই টয়লেট
থেকে নোংরা পানি দিয়ে তার
পুরো শরীর
মেখে নিল, যাতে তার
শরীর
থেকে বিশ্রী গন্ধ বের হয়......
ছেলেটি টয়লেট
থেকে বের
হবার
পর,,
মেয়েটি তার গায়ের
দুর্গন্ধের
কারনে তাকে তাড়িয়ে দিলো!
আর
ছেলেটি খুশী মনে বের
হয়ে গোসল
করে মাদ্রাসায়
গিয়ে ক্লাসে প্রবেশ
করলো !! ওস্তাদ ক্লাস
চলাকালীন
সময়ে বললেন,, তোমাদের
মধ্যে কে আজকে এমন সুগন্ধ
লাগিয়ে এসেছো যে পুরো ক্লাস
সুগন্ধময়
হয়ে আছে! ছেলেটা ভয়
পেয়ে গেল ,
মনে মনে ভাবল হয়ত তার
গায়ে কোথাও
ময়লা লেগে আছে অথবা ভাল
করে ধোয়া হয়নি , সেখান
থেকে মনে হয়
দুর্গন্ধ বের হচ্ছে !
সে মনে করল ,
ক্লাসের
মধ্যে ওস্তাদ তার গায়ের
দুর্গন্ধকে উপহাস
করে সুগন্ধ বলছে নাতো ?
ছেলেটা লজ্জায়
মাথা নিচু
করে বেঞ্চে বসে রইল!
এদিকে কোন ছাত্র জবাব
না দেওয়ায় ওস্তাদ
অবাক হলেন ,
এবং পরীক্ষা করার
করার জন্য
একজন একজন
করে উঠে আসতে বললেন ,
আশ্চর্যের বিষয়
কারো কাছেই

সুগন্ধ
পাওয়া গেল না , অতঃপর
ওস্তাদ
দেখলেন
একটা ছেলে ক্লাসের
সর্বশেষ
বেঞ্চে মাথা নিচু
করে বসে আছে , ওস্তাদ
ছেলেটাকে কাছে ডাকলেন ,
ছেলেটা কাছে আসলো ,
ওস্তাদ
খেয়াল
করলেন এই ছেলেটার
কাছে থেকেই এত
সুগন্ধ বের হচ্ছে ! ওস্তাদ
ছেলেটাকে প্রশ্ন
করলেন , তুমি ই এ সুগন্ধ
লাগিয়ে এসেছ , কিন্তু
আমাদেরকে বলছনা কেন ?
বলো এই
সুগন্ধ
কোথায় পেয়েছ ?
ছেলেটা তখন
ভয়ে কাঁদতে আরম্ভ করল !
ওস্তাদ
আরো বেশি অবাক হলেন এবং
ছেলেটাকে বললেন ,
তুমি কাঁদছ
কেন ? তখন
ছেলেটা সম্পূর্ণ ঘটনা ওস্তাদ
কে বলে দিল ,
সব কিছু শুনে ওস্তাদ ও
কেঁদে ফেললেন
এবং ছেলেটাকে বুকের
সাথে জড়িয়ে ধরে সকল
ছাত্রদেরকে বললেনঃ তোমরা যদি কেউ
একজন জান্নাতী মানুষ
দেখতে চাও ,
তাহলে আমার এই
ছাত্রটিকে দেখ ! ... ...
সুবহান-আল্লাহ্!!!!!!!
ছেলেটি আর
কেউনা,,
তিনি হলেন ঈমাম
গাজ্জালী (রহ.)।




7. ইসলামিক জীবন Vs আধুনিক জীবন

একদা একজন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির সিইও(CEO) এবং একজন মাদ্রাসার
ছাত্রের কথোপকথন-

CEO:এই
যে তুমি শুধু কুরআন এবং হাদিস
পড়, তোমার তো কোন ভবিষ্যৎ
নেই?
অথচ তুমি যদি আজ আধুনিক
শিক্ষায় শিক্ষিত
হতে তাহলে তুমিও আমার মত বড়
কোম্পানির
অফিসার হতে পারতে।
কত
টাকা হত, লোকে তোমাকে কত
সম্মান করত, তাই না?

মাদ্ররাসার
ছাত্র: জি তাই। তো আমাকে আপনার
মত
অফিসার হতে হলে কি করতে হবে?

CEO: কাজটা খুব
একটা সহজ না। তুমি কি জানো আমার
এই পজিশনে আসতে কি কি করতে হয়েছে?
স্কুল কলেজে ভাল রেজাল্ট
করার জন্য দিন রাত
পড়তে হয়েছে। BBA, MBA
করতে করতে জীবনের অর্ধেকটাই
পার করেছি। আর তারপর চাকরি।
প্রমোশনের জন্য একের পর এক
চাকরি বদল করেছি।
কোম্পানিকে লাভজনক করার
জন্য ঘর সংসার বাদ দিয়ে ,
রাতের পর রাত
অফিসে কাটিয়েছি।
এর মধ্যে কাজের চাপে আমার
একবার হার্ট এটাক হয়েছে।
আমার কাজকেই আমার ধ্যান
জ্ঞান বানিয়েছি। সেই
কারণেই তো আজ আমি এত বড়
আফিসার।

মাদ্রাসার ছাত্র:
জি বুঝলাম, তো এতো কষ্ট
করে অফিসার হয়ে আপনি ফাইনালি কি পাবেন?

CEO: এই যে ধর
যখন রিটায়ার্ড করবো তখন
আমার হাতে অনেক টাকা থাকবে, ঘুরাঘুরি করবো, ভাল
জায়গায় একটা বাড়ি বানিয়ে শান্তিতে জীবনের শেষ কয়টা দিন
কাটিয়ে দেবো?

মাদ্রাসার
ছাত্র:
জি, তো আপনি কবে রিটায়ার্ড
করবেন?

CEO: এই ধর
আমার বয়স যখন ৬৫ বছর হবে।

মাদ্রাসার ছাত্র: হায়!
হায়!! বলেন কি ? ৬৫ বছরের
পরে আপনার জীবনের
আর বাকি থাকবে কি, যে আপনি সুখে কাটাবেন?
আর
আপনার জমানো টাকা তো শেষ হয়ে যাবে আপনার হার্ট ,
ডায়াবেটিকসের চিকিৎসা করতে করতেই? আর আল্লাহ
না করুন, যদি আপনি এর আগেই
মরে যান, তাহলে? আপনার সবই
তো বৃথা। দুনিয়াতে বলদের
মত খেটে গেলেন বছরের পর
বছর, মেধা বুদ্ধি তারুণ্য ব্যয়
করলেন কোম্পানির জন্য, তাঁর
বিনিময় এত সামান্য আর
অনিশ্চিত ভবিষ্যত!
আর আপনি সম্মানের
কথা বললেন, লোকে তো আপনাকে সম্মান দেয়নি ,
দিয়েছে আপনার চেয়ারকে।
রিটায়ার্ড
করার পরে আপনার কোম্পানির
কয়জন আপনাকে মনে রাখবে?
ফোন করে খবর নেবে? আর
আমি আমার জীবন
ব্যয় করছি আল্লাহর দেয়া দ্বীনকে শিখতে,
তার প্রচার প্রসার করতে।
রিযিকের জন্য আল্লাহ
চাইলে কোথাও শিক্ষক
হব, অথবা মসজিদে ইমামতি করব।
আর যদি ব্যবসায়েও
ঢুকি, ইনশাল্লাহ অবশ্যই
কোনো হালাল ব্যবসায়ে ঢুকব।
আমার জন্য আল্লাহ
যা নির্ধারিত করে রেখেছেন
তাই এই দুনিয়াতে পাব।
তবে আপনার মত সংসার ধর্ম
উপেক্ষা করে, হালাল
হারাম বাছ-বিচার না করে ,
দুনিয়ার পিছনে পাগলের
মত ছোটাছুটি করে নয়। আর আমার
রিটায়ার্ডমেন্ট তো যখন আল্লাহ
ওপারে নিয়ে যাবেন।
যদি দুনিয়াতে তাঁকে খুশি করে যেতে পারি, তাহলে তো আমার
জন্য অপেক্ষা করছে জান্নাতের প্রাসাদ, যার সাথে এই দুনিয়ার কোন
কিছুরই তুলনা হয়না।
আপনি মারা যাবার সাথে সাথেই আপনার
সারা জীবনের
ত্যাগ তিতিক্ষা উপার্জন
সব বাতাসে মিলিয়ে গেল।
আর আমারটা তো সীমাহীন
সময়ের জন্য আমার সাথেই
থাকবে। দুঃখিত স্যার, আপনার
মত
এতো বড় বোকামি অামি করতে পারবোনা।
সারাজীবন গাধার
মত খেটে বুড়াকালে কয়টা বছর
সুখের দরকার আমার নেই,
আমার আকাঙ্কা অনন্ত কালের জান্নাতের জিবন। আমার অফিসার
নামের মানুষের দাসত্বের
দরকার নাই। এক আল্লাহর
দাসত্ত্বই আমার কাম্য।




8

ইমাম গাজ্জালী একবার
একটা গল্প
বলেছিলেন।
এক
ব্যক্তি জঙ্গলে হাঁটছিলেন।
হঠাৎ
দেখলেন এক সিংহ তার
পিছু নিয়েছে।
তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন।
কিছুদূর
গিয়ে একটি পানিহীন
কুয়া দেখতে পেলেন।
তিনি চোখ বন্ধ
করে দিলেন ঝাঁপ।
পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত
দড়ি দেখে তা খপ
করে ধরে ফেললেন
এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন।
উপরে চেয়ে দেখলেন কুয়ার
মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার
অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে আছে।
নিচে চেয়ে দেখলেন
বিশাল এক সাপ তার
নিচে নামার
অপেক্ষায় চেয়ে আছে।
বিপদের উপর
আরো বিপদ
হিসেবে দেখতে পেলেন
একটি সাদা আর
একটি কালো ইঁদুর তার
দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে।
এমন হিমশিম অবস্থায়
কি করবেন যখন
তিনি বুঝতে পারছিলেন
না, তখন
হঠাৎ
তার সামনে কুয়ার
সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক
দেখতে পেলেন।
তিনি কি মনে করে সেই
মৌচাকের
মধুতে আঙ্গুল
ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন।
সেই মধুর মিষ্টতা এতই
বেশি ছিল
যে তিনি কিছু মুহূর্তের জন্য
উপরের
গর্জনরত সিংহ, নিচের
হাঁ করে থাকা সাপ, আর
দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের
কথা ভূলে গেলেন।
ফলে তার বিপদ
অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।
ইমাম গাজ্জালী এই গল্পের
ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেনঃ
.ණ এই
সিংহটি হচ্ছে আমাদের
মৃত্যু,
যে সর্বক্ষণ
আমাদের
তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
.ණ সেই সাপটি হচ্ছে কবর।
যা আমাদের
অপেক্ষায় আছে।
.ණ দড়িটি হচ্ছে আমাদের
জীবন,
যাকে আশ্রয় করেই
বেঁচে থাকা।
.ණ সাদা ইঁদুর হল দিন, আর
কালো ইঁদুর
হল রাত, যারা প্রতিনিয়ত
ধীরে ধীরে আমাদের
জীবনের আয়ু
কমিয়ে দিয়ে আমাদের
মৃত্যুর
দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
.ණ আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া।
যার
সামান্য মিষ্টতা পরখ
করে দেখতে গেলেও
আমাদের এই
চতুর্মুখি ভয়ানক বিপদের
কথা ভূলে যাওয়াটা বাধ্য।




→Next »1 »2 »3 »4 »5


•••••Home»»›



Our Facebook page♥

Like Us On Facebook
©Powered By↓BDResult



© BDResult.wap.sh(2013-2014)